নড়াইলের লোহাগড়ায় চেয়ারম্যান কর্তৃক ৯০ বছরের বৃদ্ধ মহিলা নির্যাতনের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার মনির খান লোহাগড়া নড়াইল-

লোহাগড়ায় জয়পুর ঈদগা থেকে লোহগড়া বাজারে যেতে দুই পাশ দিয়ে অবৈধভাবে সরকারি জায়গার উপর গড়ে তুলেছে একশ্রেণীর ভূমিদস্যুদের দোকান ঘর।

চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ১২ নং কাশিপুর ইউনিয়ন লোহাগড়া নড়াইল। ও আকরাম ভূইয়া পুদ্মার পাড়া, লোহাগড়া নড়াইল। দুইজন মিলে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর দোকান ঘর রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে ওখান চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান তার নিজের দোকান ঘর স্থাপন করে। এই জমি টি কিছু মালিকানা ও বাকি টা সরকারি ।

          থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ পত্রের কপি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছাক খার স্ত্রী মোসা: কোমেলা বেগম বলেন যে চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান আমার জায়গা ও সরকারি জায়গা দখল করে জোরপূর্বক ক্ষমতার বলে দোকান ঘর স্থাপন করেছে ।আমি গরিব অসহায় আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেহ ই নেই। এবং ওখানে পাশাপাশি আলম খানের জমি ।

আলম খান বলেন গত ১০ জানুয়ারি ২০২১তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার সময় চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার ২০/৩০ জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অতর্কিত ভাবে আমার মা, ও রাকিব এবং আমার উপর হামলা চালায়। মা কে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সহ তার ক্যাডার বাহিনী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও করে ।

গত ১০ জনুয়ারি ২০২১ তারিখ আলম খান কে প্রাণনাশের হুমকি, ও তার মাকে গলাধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াই আলম খান নিজে বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তিন জন কে আসামি করেন।

১/ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ১২ নং কাশিপুর ইউনিয়ন, লোহাগড়া নড়াইল।
২/ মোঃ তুহিন শেখ পিতা: মোঃ লাকির শেখ গ্রাম: কচুবেড়িয়া
৩/মোঃ আকরাম ভূঁইয়া পিতা-মৃত আজিজার ভূঁইয়া সর্ব থানা: লোহগড়া, জেলা: নড়াইল।

আলম খান সাংবাদিকদের বলেন যে, চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হুংকার দিয়ে বলে, আলম কে ও রাকিব কে ধরে এনে ওদের কে মেরে হাত পা ভেঙ্গে আমার সামনে হাজির কর,এই কথা শুনে তার ক্যাডার বাহিনীরা আলম খান ও রাকিবকে মারধোর করার উদ্দেশ্যে, লাঠি, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র, হাতে নিয়ে খুন করবে বলে তল্লাশি চালায়।

আলম খান বলেন আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিক আমি নিজে ৩৬ শতাংশ জমি যাহার জেএল নং ৬৭ খতিয়ান নং ১৪৭৩ দাগ নং ৩৩৯৯, ৩৬৩৭, ৩৩৯৯, ৩৬৩৮ উক্ত জমির মালিক আব্দুল গনি খান পিতা: মৃত্যু : রেয়াজ খান জয় পুর মৌজা লোহাগড়া নড়াইল। আব্দুল গনি খানের ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিক মোঃ আলম খান দাবি করে। তিনি বলেন আমি নিজে ই উল্লেখিত জমির মালিক।

এখানে ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরকারি খাস জমি জোর দখল করে দোকান ঘর স্থাপন করেছে । যা বাংলাদেশ সরকারের খতিয়ান নং ১৩০৮ ডিপি ০১ জেএল নং ৬৭ রাজস্ব ৩৪৯৬,৩৪৯৩ দাগ নং ৩৯৪৫ জমির পরিমাণ ২ একর ৮৩ শতাংশ। উক্ত জমির একটি অংশ সরকারি জমি জালিয়াতি করে আকরাম ভূঁইয়া চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কাছে বিক্রি করেছে বলে জানা যায়। এবং এই জমি নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রতিনিয়ত চলছে ই ।

এলাকাবাসীরা জানান এই জমি নিয়ে কখন যে খুন জখম হয়, যে কোন সময় এই সরকারি জমি নিয়ে হতে পারে খুন বা যখম। এলাকাবাসীরা আরো বলেন সরকারি জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত এই দাঙ্গা-হাঙ্গামা থামবে না বলে মন্তব্য করেন।